Google search engine
Homeফিচারসাধারণ সর্দি-জ্বর নাকি এইচএমপিভি, কীভাবে পরীক্ষা করবেন

সাধারণ সর্দি-জ্বর নাকি এইচএমপিভি, কীভাবে পরীক্ষা করবেন

শীত আসতেই সর্দি-জ্বর, কাশিতে কমবেশি সবাই ভুগছেন। তবে এ সময়ের সর্দি-জ্বর সাধারণ নাকি নতুন কোনো ভাইরাসের লক্ষণ তা বুঝে ওঠা কঠিন। এখন আবার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এইচএমপি নামক ভাইরাস। সব মিলিয়ে এখন সুস্থ থাকাটাই চ্যালেঞ্জের। তাই সবারই সতর্ক হতে হবে।

কোভিডের পর চিন থেকে আবারও একটি নতুন ভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। যার নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করে। চিকিৎসকদের মতে, এইচএমপিভি যে কোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা দিতে পারে। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে আছে বয়স্ক, শিশু ও শ্বাসযন্ত্রে দুর্বলতা আছে এমন ব্যক্তিরা। মৌসুম বদলের সময়ে বিশেষ করে শীত ও বসন্তে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। চিকিৎসকদের মতে, যদি সিওপিডি রোগীরা সংক্রমিত হয় তবে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, সঙ্গে ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতার পাশাপাশি সঠিক তথ্য থাকা খুবই জরুরি।

এইচএমপিভির কী কোনো চিকিৎসা আছে?

চিকিৎসকরা বলছেন, এইচএমপিভি’র জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। যত্ন ও সচেতনতিই হলো এর মূল চিকিৎসা। যথেষ্ট বিশ্রাম, হাইড্রেশন ও গুরুতর ক্ষেত্রে জ্বর কমানোর ওষুধ ও অক্সিজেন থেরাপির সাহায্যে এর লক্ষণগুলি উপশম হয়।

উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের যেমন শিশু, বয়স্ক বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এটি এড়াতে, হাত পরিষ্কার করা ও সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এইচএমপিভি’র চিকিৎসার জন্য যত্ন ও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন। কারণ এর কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্রাম ওহাইড্রেশনের সাহায্যে এর লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এছাড়া গুরুতর ক্ষেত্রে অক্সিজেন থেরাপি সহায়তারও প্রয়োজন হতে পারে।

এইচএমপিভি কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

চিকিৎসকরা বলেছেন, এরই মধ্যে এইচএমপিভির প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে, এটি প্রতিরোধ করার কার্যকর উপায় হলো ভালো স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা ও সংক্রামিত ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। বিশেষ পরীক্ষা যেমন পিসিআর-এর মাধ্যমে এইচএমপিভি শনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাটি শ্বাসযন্ত্রের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ধারণ করে। এছাড়া দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments